Legal Stuff

banner image

গুগল অ্যাডসেন্স কি? নতুনরা জেনে নিন গুগল অ্যাডসেন্স সহজে পাওয়ার উপায়


আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত তারা সবাই কম-বেশি গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে জানি। পৃথিবীর বহু দেশের মত আমাদের দেশের অনেক ব্লগাররাও গুগল অ্যাডসেন্স থেকে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করে থাকেন। অনেকে তাদের নিজস্ব ব্লগকে গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করেন আবার অনেকে তাদের ইউটিউব চ্যানেলকে গুগল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করেন।

আমাদের দেশে নতুন অনেকেই, বিশেষ করে ব্লগাররা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন করতে চান কিন্তু সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারেন না। অনেকেই আছেন গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টও এপ্রুভ করাতে পারেন না।
২০১২ এর দিকে আমি একটা ব্লগে পড়েছিলাম যে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করা যায়, কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমি অ্যাডসেন্স সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এরপরে গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে কিছুটা জেনে ২০১২ এর শুরুর দিকে একটা ব্লগ করি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করার জন্য।

গুগল অ্যাডসেন্স কি?
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা আয় করবেন আর অ্যাডসেন্স কি সেটা জানবেন না তা কি করে হয়।

গুগল অ্যাডসেন্স হচ্ছে অত্যান্ত কার্যকরী ও বিশ্বের বৃহত্তম একটি অনলাইন অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে বিশ্বের বড়-বড় ব্লগার ও ওয়েবমাষ্টাররা তাদের ব্লগ/ওয়েবসাইট মনিটাইজ করে টাকা আয় করে থাকেন। গুগল তাদের বার্ষিক আয়ের বড় একটি অংশ গুগল অ্যাডসেন্স থেকে করে থাকে।
কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স কাজ করে?
এইটা খুবই সহজ একটা পদ্ধতি। আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্স এর পাবলিশার হতে হবে এবং আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্স এর বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন দেখে ক্লিক করে তাহলে আপনে প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পাবেন। এছাড়া শুধু মাত্র আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি অল্পকিছু পরিমান টাকা পাবেন। আর এই বিজ্ঞাপনগুলো গুগল তাদের আরেকটি প্রোগ্রাম গুগল অ্যাডওয়ার্ডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকে।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আপনি কি পরিমাণ আয় করতে পারবনে?

এইটা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না যে আপনি অ্যাডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন। এটা কয়েকটা জিনিসের উপরে নির্ভর করবে যেমন আপনার ব্লগের টপিক কি, ব্লগে প্রতিদিন ইউনিক ভিজিটর কয়জন, পেজভিউ কত, ভিজিটর কোন দেশের, এডস্লট ব্লগের কোথায় বসানো হয়েছে, টেক্সট এড নাকি ইমেজ এড, সিটিআর (ক্লিক থ্রো রেশিও), আপনার টার্গেটেড কীওয়ার্ডের সিপিসি (কষ্ট পার ক্লিক) কত ইত্যাদি। তবে সাধারনত, আ1পনি প্রতি ক্লিকের জন্য ১ সেন্ট থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন আর প্রতি থাউজেন্ড ইম্প্রেশনের জন্য ১ থেকে ৫ ডলার বা তারো বেশি পেতে পারেন।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার জন্য কিভাবে একটা ব্লগ তৈরী করবেন?

আসলে একটা ব্লগ করার জন্য অনেকগুলো প্রসেস, অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলা লাগে আর সময় লাগে। আমি এইখানে সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করবো কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন পাওয়ার জন্য এবং গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ভালো পরিমান আয় করার জন্য ব্লগ করবেন।
  • প্রথমে আপনাকে ব্লগের জন্য ভালো দেখে একটা টপিক পছন্দ করতে হবে যেটা সম্পর্কে আপনি মোটামুটি জানেন এবং লিখতে পারবেন। টপিকটা/কীওয়ার্ডটা এমন হতে হবে যাতে এর সিপিসি বেশী হয়। একটা কীওয়ার্ডের সিপিসি দেখার জন্য আপনি গুগল অ্যাডওয়ার্ড কীওয়ার্ড প্ল্যানার টুল ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি ফ্রি।
  • আপনাকে মনে রাখতে হবে যে অ্যাডসেন্স থেকে বেশি আয় করার জন্য আপনার ব্লগে অনেক ভিজিটর লাগবে আর ভিজিটর পেতে হলে ব্লগে অনেক কন্টেন্ট থাকা লাগবে। সুতরাং চেষ্টা করবেন এমন টপিক পছন্দ করতে যেটার সিপিসি ও বেশী আবার আপনি ঐ টপিক সম্পর্কে ভালো লিখতে পারবেন।
  • আজকাল দেখা যায় যে অনেক নতুন ব্লগাররা সিপিসি বেশি পাওয়ার জন্য এমনসব টপিক পছন্দ করেন যে তারা ঐ টপিকগুলা সম্পর্কে ভালো জানেন না, যার কারণে তারা মানস্মত ও বেশি কন্টেন্ট লিখতে পারেন না এবং অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয়ও করতে পারেন না।
  • টপিক পছন্দ করার পরে টপিক অনুযায়ী ব্লগের জন্য একটা ডোমেইন নাম পছন্দ করতে হবে এবং কিনতে হবে। গোড্যাডি বা নেমচিপ থেকে ডোমেইন কিনতে পারেন। ব্লগ হোষ্ট করার জন্য আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং আপনি হোস্টগ্যাটর, এটুহোস্টিং বা মাষ্টারটেক থেকে কিনতে পারেন।
এইবার আপনাকে ব্লগ তৈরী করতে হবে এবং ব্লগ করার জন্য অধিকাংশ ব্লগাররাই ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস কে ব্যবহার করে থাকে। আপনি কোন কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ব্লগ বানাতে পারেন। এরপর আপনার ব্লগের জন্য একটা প্রিমিয়াম থিম ও কিছু প্লাগিন কিনতে হবে যা আপনি থিমফরেষ্ট, মাইথিমশপ বা ইলিগেন্টথিমস থেকে কিনতে পারেন।

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটা মানস্মত ব্লগ বানাবেন সেটা আরো বিস্তারিত দেখতে পারেন এখানে,

কি করে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট এর অনুমোদন পাবেন?

এখন আপনার ব্লগ তৈরী হয়ে গেলো এবং আপনি হয়ত অ্যাডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য তৈরী। কিন্তু আপনি অ্যাডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন করার আগে নিন্মোক্ত দিকগুলো বিবেচনা করতে হবে অন্যথায় আপনার একাউন্ট অনুমোদন না পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক অ্যাডসেন্স একাউন্টের অনুমোদন পেতে হলে আপনাকে কি কি জিনিস বিবেচনা করা লাগবে।
  1. আপনার ব্লগের অবশ্যই একটি কাষ্টম ডোমেইন নেম থাকতে হবে যেমন গুগল ডট কম। অনেকেই দেখা যায় যে ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেসে একটা ব্লগ করে বা একটা ফ্রি ডোমেইন নিয়ে ফ্রী হোস্টিং এ হোস্ট করে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন, এক্ষেত্রে আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন না পাওয়ার সম্ভাবনা ৯৯%।
  2. ডোমেইন বয়স অবশ্যই ৩ থেকে ৪ মাস হওয়া ভালো
  3. ব্লগের ডিজাইন এবং নেভিগেশন যাতে ইউজার ফ্রেন্ডলী হয়
  4. ব্লগের জন্য এবাউট, কন্টাক্ট, প্রাইভেসি পলিসি/ডিসক্লেইমার পেজ তৈরী করুন
  5. কমপক্ষে ২০-৩০ টা কন্টেন্ট পাবলিশ করুন যার মধ্যে ৫-১০ কন্টেন্ট ১৫০০ ওয়ার্ড এর বেশী এবং বাকীগুলো ৭০০ ওয়ার্ডের বেশি।
  6. কোনরকম কপি/পেষ্ট কন্টেন্ট পাবলিশ করা যাবে না
  7. ব্লগের জন্য কিছু এস.ই.ও. এর কাজ করুন এবং প্রতিদিন যাতে কিছু সার্চ ট্রাফিক আসে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করুন
  8. যদি অন্য কোন এড নেটওয়ার্ক এর এড ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেগুলো মুছে দিন

কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন করবেন?

যখন আপনার ব্লগ তৈরী হবে এবং উপরোক্ত শর্তগুলোর সাথে মিলে যাবে তখন আপনি গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন আপনাকে প্রথমে এই ঠিকানায় যেতে হবে এবং “গেট স্টার্টেড নাউ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এখন আপনি যদি আপনার আগের কোন জিমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইন-আপ করতে চান তাহলে “ইয়েস, প্রোসিড মি টু গুগল একাউন্ট সাইন-ইন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর আপনি যদি নতুন একটা জিমেইল আইডি দিয়ে সাইন-আপ করতে চান তাহলে “নো, ক্রিয়েট এ নিউ গুগল একাউন্ট” বাটনে ক্লিক করতে হবে।


অ্যাডসেন্স এর জন্য একটি নতুন জিমেইল আইডি ব্যবহার করা ভালো, তাই আমি এইখানে “নো, ক্রিয়েট এ নিউ গুগল একাউন্ট” বাটনে ক্লিক করে কিভাবে করতে হয় সেটা দেখাচ্ছি।

এই পর্যায়ে আপনাকে একটা গুগল একাউন্ট করার জন্য সব তথ্য দিতে হবে এবং পরবর্তী স্টেপে যেতে হবে।

এইবার আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট (ব্লগ) এর ঠিকানা দিতে হবে যেখানে আপনি এড ডিসপ্লে করাতে চান। এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভাষাও নির্বাচন করে দিতে হবে।
এরপর শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপে আপনাকে আপনার যোগাযোগের ঠিকানা দিতে হবে। এইখানে আপনার একাউন্ট পেয়ি নেম, কান্টি, টাইমজোন, একাউন্ট টাইপ (বিজনেস নাকি পারসোনাল), ঠিকানা, ফোন নাম্বার ইত্যাদি দিতে হবে।


মনে রাখবেন, সব তথ্য ঠিকভাবে দিবেন বিশেষ করে জিপ কোড, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার আর পেয়ি নেম। কারন এই একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য গুগল আপনার ঠিকানায় একটা পিন কোড পাঠাবে, সুতরাং ঠিকানা ভুল হলে আপনি সেই পিন কোড পাবেন না আর আপনার একাউন্টও অনুমোদন পাবে না। আর পেয়ি নেম দিতেও সাবধানতা অবলম্বন করবেন কারন গুগল এই নামেই পেমেন্ট পাঠাবে।
কেন আপনি অ্যাডসেন্স থেকে ভালো পরিমান আয় করতে পারছেন না?

তাহলে আপনার ব্লগ হলো, অ্যাডসেন্স একাউন্ট হলো, এখন সমস্যা হচ্ছে আপনার অ্যাডসেন্স থেকে আয় নেই বা একদমই কম। 

চলুন দেখে নেওয়া যাক কেন অ্যাডসেন্স থেকে আপনার আয় কম বা আয় হয়ই না।
  • আপনার ব্লগে যথেষ্ট পরিমান পোষ্ট নাই 
  • যথেষ্ট পোষ্ট নাই মানে ভিজিটর নাই 
  • ভিজিটর নাই মানে এডে ক্লিক নাই 
  • আপনার ব্লগের কন্টেন্ট রিডারদের জন্য হেল্পফুল না 
  • আপনার পছন্দ করা টপিক/কীওয়ার্ড এর সিপিসি কম
  • আপনি আপনার ব্লগ নিয়মিত আপডেট করেন না
  • আপনি ব্লগের সঠিক জায়গায় এডস্লট বসান নাই
  • আপনি সঠিক সাইজের এডস্লট ব্যবহার করছেন না
  • আপনি টেক্সট এবং ইমেজ টাইপ এর এডস্লট ব্যবহার করছেন না
  • আপনার সাইটের অধিকাংশ ভিজিটর এশিয়ান, (মূলত বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান আর পাকিস্তানি) তাই সিপিসি এবং সিটিআর একদমই কম পাচ্ছেন
তাহলে আপনি অ্যাডসেন্স থেকে আয় বাড়াতে চান? কিভাবে?
তো চলুন দেখে নেই কিভাবে আপনিও অ্যাডসেন্স থেকে আয় বাড়াতে পারেন।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ব্লগ ডিজাইন এবং ইউজার ফ্রেন্ডলী নেভিগেশন ব্যবহার করুন
  • ব্লগের জন্য একটি প্রিমিয়াম এবং অ্যাডসেন্স অপ্টিমাইজড থিম ব্যবহার করুন
  • ব্লগের নিয়মিত ফ্রেশ এবং ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিশ করুন যেগুলো আপনার রিডারের সমস্যা সমাধান করতে পারে
  • বড় এবং সঠিক সাইজের এডস্লট ব্যবহার করুন (সুপারিশকৃত এডস্লট সাইজঃ রেসপন্সিভ এডস্লট, ৭২৮*৯০, ৩০০*৬০০ এবং ৩৩৬*২৮০)
  • পোষ্ট টাইটেল, পোষ্টের মাঝখানে, হেডারে এবং পোষ্টের শেষে এড বসান। এটি আপনি গুগলের অফিসিয়াল ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন দিয়ে করতে পারবেন।
  • টেক্সট এবং ইমেজ উভয় টাইপের এডস্লট ব্যবহার করুন
  • সার্চ বক্সের জন্য অ্যাডসেন্স কাষ্টম সার্চ বার ব্যবহার করুন
  • লো পেয়িং অ্যাডভার্টাইজারদের ব্লক করুন
  • নিয়মিত সাইটের এস.ই.ও. করুন ও সাইটে সার্চ ট্রাফিক আনুন
কিভাবে আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে রক্ষা করবেন?

তাহলে চলুন দেখে নেই কিভাবে আপনার অ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হওয়া থেকে রক্ষা করবেন।
স্টেটকাউন্টারের সাহায্যে আপনার ব্লগের এডের উপরে ক্লিক পর্যবেক্ষণ করুন এবং ইনভ্যালিড ক্লিক সনাক্ত করুন আইপি সহ
যদি আপনার কাছে কোন ক্লিক ইনভ্যালিড মনে হয় তাহলে এই লিঙ্কে গিয়ে গুগলের কাছে রিপোর্ট করুন
কখনই আপনার নিজের এডে নিজে ক্লিক করবেন না, এমনকি কোন বন্ধু বা পাবলিক পিসি থেকেও না
ব্লগে রিরাইটেন বা কপি/পেষ্ট কন্টেন্ট ব্যবহার করবেন না
একই সময়ে একটার বেশি অ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যবহার করবেন না
একটা পেজ/পোষ্টে ৩টার বেশী এডস্লট ব্যবহার করবেন না
এড সাইজ বা কোড কাষ্টোমাইজ করবেন না
কোথাও থেকে ট্রাফিক কিনবেন না

ধন্যবাদ
গুগল অ্যাডসেন্স কি? নতুনরা জেনে নিন গুগল অ্যাডসেন্স সহজে পাওয়ার উপায় গুগল অ্যাডসেন্স কি?  নতুনরা জেনে নিন গুগল অ্যাডসেন্স সহজে পাওয়ার উপায় Reviewed by TheRocky on 2:52 PM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.